Important Homeopathic Medicine for viral infection ভাইরাল ইনফেকশনের জরুরী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ


আসসালামু আলাইকুম
ভাইরাস ইনফেকশন খুবই মারাত্বক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে পুরো বিশ্বে। এই ভাইরাস কি ভাবে ছড়ায় তা আমাদের অনেকেরই যানা তারপও বলে রাখি এই ভাইরাস মানুষের হাছি, কাশি, ও শারিরিক মেলামেশায় ছড়িয়ে পরে। তাই  আপনি চাইলে এই ভাইরাস থেকে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে এ থেকে মুক্ত থাকতে পারেন শুধু মাত্র একে অপরের সাথে দুরুত্ব বজায় রেখে। এখানে প্রয়োজন শুধু মাত্র আপনাদের একটু সচেতনতা। বাহিরে অযথা ঘোরাঘোরি থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। কমপক্ষে ১৪ থেকে ২১ দিন নিজেকে ঘরের ভিতরে রাখুন। আল্লাহ চাইলে আপনি নিজে ও নিজের পরিবারকে মুক্ত রাখতে পারেন। ভাইরাল ইনফেকশন মানুষের হাতের সংস্পর্শে মুখ, নাক ও চোখের মাধ্যমে মানুষের শরিরে প্রবেশ করে। এর মাধ্যমে মানুষের গলায় গিয়ে ইনফেকশন সৃষ্টি করে পরে ফুসফুস আক্রান্তকরে। আর ফুসফুস আক্রান্ত হলে মানুষের মৃত্যুর ঝুকি বেড়ে যায়। ভাইরাস ইনফেকশনে সামান্য জ্বর হয়, শরির ব্যাথা করে কখনো কখনো উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর ও দেখা দিরে পারে। কখনো কখনো শিত উপলব্দির সাথে জ্বর আসতে পারে। ভাইরাস ইনফকশনের বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে দেখা দিতে পারে। আর এই ভারাল ইনফেকশন ধিরে ধিরে কিছুদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তবে কখনো কখোন এই ভাইরা ইনফেকশন সহজে  ঠিক হনা। মানুষ নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে ফুসফুস কলাপ্স হয়ে সমস্যা বহুগুনে বেড়ে যায়। ভাইরাল ইনফেকশন থেক মুক্ত ও সুস্থ থাকতে হোমিওপ্যাথিতে বেশকিছু কার্যকরি ঔষধ রয়েছে যার প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ রয়েছে। এবং উপসর্গ অনু্যায়ি চিকিৎসা দিলে আল্লাহ্‌ চাহেতো রোগি সুস্থ হয়ে যেতে পারে ইনশা-আল্লাহ।  
তাই আজ ভাইরাল ইনফেকশনের কিছু হোমিওপাথিক ঔষধ নিয়ে আলোচনা করব। মহান আল্লাহ চাইলে উনার রহমতে যা ব্যবহার করে আপনি ভাইরাস ইনফেকশন থেকে মুক্ত ও সুস্থ থাকতে পারবেন।

১. একোনাইট ৩০ (Aconite 30) ভাইরাল ইনফকশনে একোনাইট খুবি কার্যকরে একটি ঔষধ। যদি কারো হঠাত করে কোন উপসর্গ ছাড়াই আধাঘন্টার মধ্যে গল বসে যায়, গলায় জ্বলন দেখা দেয়, গল খুস খুস করে, উচ্চ তাপমাত্রায় জর দেখা দেয় তাহলে এর জন্য একনাইট অত্যন্ত কার্যকরী ঔষধ। একনাইট আপনি ৩০ পটিন্সিয় ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনাকে ২ ফোটা করে ১০ মিনিট পর পর নিতে হবে। এইভাবে ব্যবহারের পর ১ থেকে ২ ঘন্টার মধ্যে আপনার জ্বর ছেড়ে যাবে ইনশা আল্লাহ এইটা আশা করতে পারেন। যদি না কমে তা হলে এই প্রক্রিয়া আপনি ২ থেকে ৩ দিন পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারেন ইনশাআল্লাহ আপনি সুস্থ হবেন।

আপনি চাইলে একোনাইট ৩০/২০০ প্রতিষেধক হিসেবেও নিতে পারেন। যদি দেখেন যে আপনার আশেপাশে ভাইরাল ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়েছ তখন আপনি এইটা ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে ২ ফোটা করে চালিয়ে যেতে পারেন।  এই ক্ষত্রে একোনাইট ২০০ বেশি কার্যকরি। 


২. আরসেনিক আল্বাম (Arsenic Album 30)   
যদি কারো হঠাৎ করে উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বর আসে এবং জ্বরে প্রচুর পানির পিপাশা লাগে বার বার পানি পানকরতে চায়। যিদি কারো ১০৩ থেকে ১০৪ বা ততধিক হয় জ্বর হয় সাথে খুব বেশি ঠান্ডা ও শরিরে জ্বালাপোড়া করে এবং সাথে সর্দি থাকে তাহলে রোগিকে আপনি এই আরসিনিক আল্বাম দিতে পারেন। সাথে সাথে যদি ঠান্ডার কারনে কাশি খুব বেশি ও ফুসফুসে সংক্রমন বেড়ে যায় যার কারনে কফ তৈরী হয় তা হলে রোগির জন্য এটি সঠিক ঔষধ।
এটি ২ ফোটা করে দিনে ৩ বার রোগিকে দিতে পারে। ইনশাআল্লাহ আশাকরি রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উটবে।

আপনি চাইলে এটি প্রতেষেধক হিসেবে ও ব্যবহার করতে পারেন। যদি দেখেন আপনার এলাকা বা তার আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে ভারাল ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়েছে তখন আপনি এই ঔষধ সকালে খালিপেটে ২ ফোটা করে প্রত্যেক রবিবার ও বুধবার নিতে পারেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে আপনি এই ভারাল ইনফেকশন থেক মুক্ত থাকবেন। 


৩. বেলাডোনা ৩০ ( Baladona 30) 
 বেলাডোনা ও ভাইরাল ইনফেকশনে অত্যান্ত কার্যকরি একটি হোমিওপ্যাথি ঔষধ। ভাইরাল ইনফেকশনে এই ঔষধ অনেক রোগিকে দেওয়া হয়েছে এবং এতে খুব ভালো ফল পাওয়া গেছে। অতি উচ্চতাপমাত্রার রোগি যাতে রোগির মুখ চোক লাল হয়ে যায়, কান লাল হয়ে যায় সাথে মুখে লালা আছে এবং প্রচন্ড মাথা ব্যাথা মানে হবে মাথা ফেটে যাচ্ছে, শরীর প্রচন্ড ব্যাথা  এমন উপসর্গে রোগিকে বেলাডোনা ৩০ অবশ্যই দেয়া যেতে পারে। ২ ফোটা করে প্রতি আধাঘন্টা পরপর নিতে হবে।  এইভাবে ৩ থেকে ৪ বার নেয়ার পর রোগির জ্বর, মাথা ব্যথা কমে যাবে। এর পর দিনি ২ বার করে ৩ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত দিতে পারেন। এতে ইনশাআল্লাহ রোগির ভাইলারাল ইনফেকশন পুরোপুরি সেরে যাবে।



৪. চিরায়াতা Q (Chirata Q)
চিরায়াতা মাদারটিংচার ম্যালেরিয়া রোগের মহঔষধ। ভাইরাল ইনফেকশনেও এই চিরায়াতা বহুল প্রচলিত একটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। বিষশ করে যদি কারো জ্বর হয়ে থাকে তাহলে জর কমানোর জন্য চিরায়ারা খুবই কার্যকরি একটি ঔষধ। চিরায়াতা মানুষের শরীরে ইনফেকশন রোধ করতেও অনেক কার্যকরি। এইটা নিলে মানুষের শরিরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। চিরায়াতা মাদারটিংচার ২০ ফোটা আধাকাপ পানিতে নিয়ে দিনে ৩ বার খেলে রোগির জ্বর সেরে উঠবে ইনশাআল্লাহ। আর যদি রগির জর অতি উচ্চ তাপমাত্রায় হয় তা হলে এইটি প্রিতি আধাঘন্টা পরপর ২০ ফোটা আধাকাপ পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারে। এতে রোগীর ঘামদিয়ে জ্বর ছেরে যাবে ইনশাআল্লাহ্‌।


৫. ইচিনিশিয়া Q (Echinicea Ang Q)
ইচিনিশিয়া মাদারটিংচারও ভাইরাল ইনফেকশনে ব্যবহৃত বহুল পরিচিত একটি ঔষধ। এটি রোগপ্রতিরোধে বিশেষ কার্যকরি। এটি মানুষের শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি জ্বর কেও সারিয়ে তোলে সাথে সাথে সর্দি থেকে রোগিকে সারিয়ে তোলে এবং রোগীর কফ হওয়া থেক বিরত রাখে। এটি মানুষের শরিরে ইনফেকশন যাতে না ছড়াতে পারে তার প্রতিবন্দকতা হিসাবে কাজ করে।
ইচিনিশিয়া মাদারটিংচার ২০ ফোটা আধাকাপ পানিতে নিয়ে দিনে ৩ থেক ৪ বার খেলে রোগির খুব তাড়াতাড়ি সেরে উটবে ইনশাআল্লাহ্‌।  


৬. পাইরোজিনম ২০০ (Pyroge nium 200)
পাইরোজিনম ২০০ জ্বর কমানোর খুবই কার্যকরি একটি ঔষধ। কোন কোন ডাক্তা এই ঔষধ রোগিকে ২ ফোটা করে প্রতি ১০ মিনিট পর পর দিতে থাকতেন এবং জ্বর মাপতে থাকতেন। যতক্ষন পর্যন্ত জ্বর না কমে ততক্ষন পর্যন্ত চালিয় যেতেন। জ্বর কমে গেলে ২ ফোটা করে দিনে ২ বার ৩ থেক ৪ দিন চালিয়ে যান। এই ঔষধ মানব দেহের ভিতর ইনফেকশন রোধ করতে সাহায্য করে সাথে সাথে রক্তের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। যা জন্যে জ্বর কমে যায়। পাইরোজিনম ভাইরাল ইনফেকশনের জন্য খুবই ফলপ্রদ একটি ঔষধ। 

Post a Comment

0 Comments

Important Homeopathic Medicine for viral infection ভাইরাল ইনফেকশনের জরুরী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ